মানবিকতা যদি মানুষের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে কিন্তু সে অন্যান্য বাকি সকল মানুষের তুলনায় সকলের কাছে নজর কাড়বে খুব অল্প সময়ে ।পাশাপাশি এমনটা বলা যেতেই পারে যে শুধুমাত্র টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি ঐশ্বর্য থাকলেই প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয় ।যদি আপনি মানুষের প্রতি বা অন্যান্য পশু-পাখি জন্তু-জানোয়ার দের প্রতি সহনশীল না হতে পারেন তাহলে হয়তো আপনার জীবন সম্পূর্ণ রকম ভাবে বৃথা ।
তবে আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে যে মানুষের কথা বলতে চলেছি সেটি সেই মানুষটি বর্তমানে এখন খবরের শিরোনাম দখল করেছে। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের বাড়ি তৈরীর কথা ভেবে থাকি । তার জন্য একটা জমি কিনি ।তারপর বাড়ি তৈরি করি । কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন যে সমস্ত পাখিগুলি সারাদিন আকাশের গায় ভেসে বেড়াই উড়ে বেড়ায় তারা কোথায় থাকবে?
মূলত গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকাল এই দুইটি ঋতুতে চরম ভোগান্তির শিকার হয় পাখিগুলি । গ্রীষ্মকালে অত্যধিক মাত্রায় তাপমাত্রা থাকার কারণে এবং বর্ষাকালে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাদের বাসস্থানের অভাব হয় । সেই পরিকল্পনা থেকেই এই নতুন ভাবনা চিন্তার জন্ম দিয়েছে রাজস্থানের বাসিন্দা ভগবান জি ভাই ।
কোথায় কুড়ি লক্ষ টাকা খরচ করে পাখিদের জন্য বানিয়েছে একটি বিশেষ ঘর যেখানে প্রায় কয়েক শো পাখি নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে গ্রীষ্মকাল কিংবা বর্ষাকালে এই পাখির বাসা টি তৈরি হয়েছে শিবলিঙ্গের আকারে ।এই পাখির ঘরটি তৈরি করতে আড়াই হাজার ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে, যার মুখটি বাইরের দিকে খোলা থাকলে এবং পাখি সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
শুধু এই বাড়ি বানিয়ে ক্ষান্ত হননি ভগবান জি, প্রত্যেকদিন ৫০ থেকে ৬০ কেজি শস্য কিনে আনেন এবং পাখির জন্য তৈরি এই বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে দেন। ভগবান জি ভাই যে ম্যাটগুলিব্যবহার করেছেন এই বাড়ি তৈরি করার জন্য, সেগুলি তিনি বিশেষ অর্ডার দিয়ে আনিয়েছিলেন। এটির বিশেষত্ব হলো, এটি গ্রীষ্মের সময় ঠাণ্ডা এবং ঠান্ডায় উষ্ণ থাকে। ভগবান জি ভাইয়ের মতন মানুষ প্রতিটি আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ুক এমনটা আশাবাদী এই সমাজ ।