পোষ্টটি তাদের জন্য যারা অধিক সময় ধরে মি’লন করতে পারেন না। অধিক সময় দরে করার জন্য আপনার ডক্টর তিনটি পদ্ধিতর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। পুরু’ষের অধিক সময় নেওয়া পুরু’ষত্বের মূ’ল যোগ্যতা হিসেবে গন্য হয়। যেকোন পুরু’ষ ব’য়সের সাথে সাথে নানাবিধ উপায় শিখে থাকে। এখানে বলে রাখতে চাই-২৫ বছেরের কম ব’য়সী পুরু’ষ সাধারনত অধিক সময় নিয়ে করতে পারেনা। পুরু’ষরাই রাতের বেলা শা’রীরিক মি’লন বা স’হবাস করা এড়িয়ে চলতে চায় । এ ক্ষেত্রে সকালের দিকটাকেই তারা বেছে নেয়।
অন্যদিকে দেখা যায়, রাতের বেলায় না’রীরা যখন স’হবাস করার জন্য বেপরোয় হয়ে উঠে ঠিক তখন পুরু’ষরা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আবার সকাল বেলা যখন পুরু’ষরা স’হবাস করতে চায় তখন না’রীদের এ নিয়ে তেমন কোনো আ’গ্রহ থাকেনা। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে এমনটি কেন হয়। শনিবার ভারত ভিত্তিক গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের হরমোনের কারণে এমনটি দেখা যায়। আসুন দেখা যাক, কোন সময় মানুষের যৌ*aন প্রণোদনা কেমন হয়।
ভোর পাঁচটা :- যখন একজন পুরু’ষ ঘুম থেকে ওঠে তখন তার টেসটোসটেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এসময় এটির মাত্রা থাকে ২৫-৩০ শতাংশের মধ্যে। এটি দিনের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এছাড়া পুরু’ষের সে*ক্স হরমোন উৎপাদনের জন্যে যে পিটুইটারি গ্রন্থি কাজ করে সেটি রাতে চালু হয়। ভোরের দিকে এটি বাড়তে থাকে। সকাল ছয়টা :- ভাল ঘুম উ’ত্তেজনা বৃ’দ্ধির একটি কারণ। গবে’ষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় গভীরভাবে একটি ঘুম দিলে টেসটোসটেরনের মাত্রা বৃ’দ্ধি পায়। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবে’ষণায় দেখা গেছে, ৫ ঘণ্টার বেশি ঘুম পুরু’ষের টেসটোসটের মাত্রা অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ বৃ’দ্ধি করে।
দুপুর বারোটা :- এসময় সামনে দিয়ে সুন্দরী রমণী হেঁটে বেড়ালেও কোনো ধরনের যৌ*aন প্রণোদনা তৈরি হয় না। এ সময় হয়ত কাউকে দেখলে মনের মধ্যে ভালো লাগা তৈরি হয়। এসময় সে*ক্স হরমোন বাড়তে অনেক সময় নেয়। বেলা একটা :- এসময় যদি কোনো না’রী তার স’ঙ্গীকে নিয়ে চিন্তা করে তাহলে তার টেসটোসটেরনের মাত্রাটা দ্রু’ত বাড়ে। কিন্তু পুরু’ষদের এসময় সে*ক্স হরমোন অনেক ধীরে কাজ করে।
সন্ধ্যা ছয়টা :- এই সময়ে না’রীদের টেসটোসটেরনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে পুরু’ষদের টেসটোসটের মাত্রা কমতে থাকে। তবে একটি গবে’ষণায় দেখা গেছে, জিম করার পর না’রী ও পুরু’ষ উভ’য়েরই কামশ’ক্তি বাড়ে। সন্ধ্যা সাতটা :- জাপানের নারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবে’ষণায় দেখা গেছে, এসময় মিউজিক না’রীদের স’হবাস হরমোন বৃ’দ্ধি করে। কিন্তু পুরু’ষের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না।
রাত আটটা :- এসময় যদি পুরু’ষরা টেলিভিশনে উ’ত্তেজনাপূর্ণ কোনো খেলা দেখে তাহলে সেটি তার স’হবাস হরমোন বৃ’দ্ধিতে সহায়তা করে। উথাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লালা গবে’ষণায় দেখা গেছে, এমন সময় যদি কেউ বিশ্বকাপের মত কোনো একটি উ’ত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখে এবং তার পছন্দের দল জিতে তাহলে তার স’হবাস হরমোন ২০ শতাংশ বৃ’দ্ধি পায়। আর যদি তার দল হারে তাহলে তার স’হবাস হরমোন ২০ শতাংশ কমে যায়। অন্যদিকে, না’রীরা খেলা দেখার চেয়ে খেলা করলে তার স’হবাস হরমোন বেশি বৃ’দ্ধি পায়।
রাত নয়টা :- এসময় না’রীদের সে*ক্স হরমোন সাধারণত বৃ’দ্ধি পায়। তবে যদি না’রীরা মনে করে যে তাকে দেখতে খুব খা’রাপ দেখাচ্ছে তাহলে সে স’হবাস করতে তেমন আ’গ্রহী হয় না। রাত দশটা :- এসময় যদিও পুরু’ষদের টেসটোসটেরনের মাত্রা কম থাকে তারপরও তারা স’ঙ্গীনির সাথে স’হবাস করতে চায়। এসময় না’রীদেরও যৌ*aন চা’হিদা বেশি থাকে।
সকাল সাতটা :- যখন পুরু’ষরা সকালে ঘুম থেকে ওঠে তখন তাদের স’হবাস হরমোনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এসময় না’রীদের সে*ক্স হরমোনের মাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে। ওয়েস্ট বার্মিংহাম হাসপাতালের স্ত্রীরো’গ বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল ডৌনি বলেছেন, দিনের অপরভাগে না’রী ও পুরু’ষের টেসটোসটেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তবে ঋতুস্রাবের কারণে না’রীদের স’হবাস হরমোন ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে।
সকাল আটটা :- এসময় না’রী ও পুরু’ষ উভ’য়ই দিনের কাজের জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের স্ট্রে’স হরমোন করটিসলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি মানুষের স’হবাস হরমোনের প্রভাবকে কমিয়ে আনে। না’রী-পুরু’ষের যৌ*aন প্রণোদনা তাদের ব্যক্তিগত ই’চ্ছার উপর নির্ভর করে না। হরমোনই এটির প্রধান চালিকা শ’ক্তি। একারণে পুরু’ষ ও না’রীর যৌ*aন চা’হিদার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।