বেশ কিছু দিন ধরে ঘুমানোর সময় নাক ডাকতে শুরু করেছেন? যদিও যাঁর নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে, তিনি বিশেষ টের পান না। যাঁরা সেই ডাক শোনেন, তাঁরা অনেক সময় হাসেন। মজা করেন। বিরক্তিও প্রকাশ করেন কখনও কখনও। নাক ডাকা কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে জটিল রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে। বা যদি আপনি আগে থেকেই কোনও রোগের শিকার হন, তা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। নাক-ডাকা আসলে নিছক হাসি-ঠাট্টা বা বিরক্তির বিষয় নয়।
নাকের ডাকও হতে পারে জটিল কোনও রোগের লক্ষণ, বলছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের মতে কয়েকটা জিনিস মেনে চললে নাক ডাকার সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন। জেনে নিন সেগুলি কী কী? ধূমপানের ফলে শ্বাসনালীতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। স্ফীত হয়ে যেতে পারে কিছু কিছু নাসিকাপেশি। ধূমপান বন্ধ করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা দূর হয়, ফলে নাক ডাকার প্রবণতা কমে।
২) অতিরিক্ত ওজন কমান
অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার অন্যতম কারণ। ওজন যত বাড়বে, নাক ডাকার আশঙ্কাও তত বাড়বে। অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেললে মুক্তি মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে।
৩) এক পাশ ফিরে ঘুমান
যাঁরা তীব্র নাক ডাকেন তাঁরা চিত হয়ে শুলে নাক ডাকার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এক পাশ ফিরে শুলে কিছুটা হলেও সমস্যা কমে। পাশ ফিরে শুলে বাতাস চলাচলের পথটি খুলে যায়। তাই শব্দ কমে যায়।
৪) উঁচু বালিশে ঘুমান
উঁচু বালিশে মাথা রাখলেও অনেক সময়ে নাক ডাকার সমস্যা কমে। চার ইঞ্চি মতো উঁচু বালিশ ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
৫) বেশি করে জল খান
শরীরে জলের ঘাটতি হলেও নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে। তাই নিজেকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখুন, উপকার পাবেন।