পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মানুষের মনে নানান ধরনের কৌতুহল রয়েছে। একটি অন্যতম তীর্থস্থান এর মধ্যে রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরের রান্নাঘর কে স্বয়ং ঈশ্বরের রান্নাঘর বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিদিন এই মন্দিরে 56 ভোগ রান্না করা হয় যা প্রথমে জগন্নাথদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়ে থাকে।
তারপরে এই সমস্ত ভোগ বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয় যাকে মহাপ্রসাদ বলে উল্লেখ করা হয়। এই রান্নাঘরের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রসঙ্গত এই রান্নাঘর 100 ফিট চওড়া, 150 ফিট লম্বা এবং কুড়ি ফুট উঁচু।
প্রায় 1000 জন কর্মী এই রান্নাঘরের দিনরাত কাজ করে থাকেন । এরমধ্যে 600 জন রান্নার কাজ করেন এবং 400 জন রান্নার কাজে সাহায্য করার জন্য রয়েছেন। রান্নার জন্য এই রান্না ঘরে তিন ধরনের উনুন রয়েছে।
এগুলি হলো অন্ন চুলি, পিঠা চুলি এবং আহিয়া চুলি।এই রান্নাঘরের আগুনকে বলা হয় বৈষ্ণব অগ্নি। বিশেষভাবে উল্লেখ্য এই আগুন কখনো নেভানো হয় না। বলা হয় যখন এই রান্না ঘরে ভোগ রান্না করা হয় তখন সেখান থেকে কোন রকম গন্ধ বের হয় না।
কিন্তু যখন সেই একই প্রসাদ বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন সুগন্ধ ভরে যায় আশেপাশের এলাকা। যদিও এর প্রকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত জানতে পারেননি মানুষ। একাংশের দাবি এই মন্দিরে নাকি স্বয়ং মা লক্ষ্মী নিজে এসে রান্না করে থাকেন। এখানে একের পর এক সাতটি পাত্র উনুনে রান্নার জন্য বসানো হয়ে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় আগুন থেকে সবথেকে দূরে যে পাত্রটি থাকে তাতেই সবার প্রথমে রান্না শেষ হয়ে থাকে।
আগুনের কাছাকাছি থাকা পাত্রটিতে সবার শেষে রান্না হয়। এই মন্দিরে রান্না করা ভোগ কখনই কম পড়ে না। প্রসঙ্গত পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে এমন অনেক বিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে। যার মধ্যে আজ কিছু জিনিস আমরা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। এই প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।