আমাদের আশেপাশের সর্বদা লড়াইয়ের মাধ্যমে মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ দেখা যায় যারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের দাঁড়া তাদের পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে এবং দৃঢ় সংকল্পের দ্বারা তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছান।
আজকের অনুপ্রেরণামূলক পোস্টে আমরা আপনাকে এমনই একজন ব্যক্তির কথা বলতে চলেছি। আমরা যার কথা বলছি তার নাম হল আশারাম চৌধুরী তার বাবা আবর্জনা পরিষ্কার করে সংসার চালাতেন। ছোটবেলা থেকেই এই ব্যক্তির চরম অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছেন। এই ব্যাক্তি মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। জানা যায় তার বাবার কাছে বই কেনার মতন টাকা পর্যন্ত ছিল না।
তার বাবা কখনো কারোর বাড়িতে দৈনিক মজুরের কাজ করতেন আবার কখনো তিনি পোর্টারের কাজ করতেন। মাঝে মাঝে আশারাম তার বাবার সাথে দেখা করতেন এবং তার কাজে তাকে সহায়তা করতেন। কেউ একদিন আশারামের বাবা কে বলেছিল যে সরকারি স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি খাবার দেওয়া হয়।
এই কথাটি জানতে পেরেই আশারামকে তার বাবা স্কুলে ভর্তি করে দেন। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভাল ছিল আশারাম।তখনই তিনি ভেবেছিলেন যে তিনিও বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবেন। এই সময় আশারামের পরিবারে বিপিএল কার্ড হয়ে গেছে এবং দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাদের উচ্চ শিক্ষা সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
18 বছর বয়সে আশারাম তার কঠোর পরিশ্রমের সাথে অধ্যায়ন করেছিলেন। সম্প্রতি সমস্ত পরিশ্রমকে সফল করে যোধপুর থেকে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন। তার সাফল্যের কথা প্রধানমন্ত্রী তার মন কি বাত প্রগ্রামে বলেছেন এবং তার প্রশংসাও করেছেন। জানা যাচ্ছে তার জন্য কোনো রকমের মেডিকেল ফি নেওয়া হবে না।
পাশাপাশি একজন ভালো ছাত্র এবং তার কঠোর অধ্যয়নের পুরস্কার স্বরূপ তাকে বিশেষ কিছু বাড়তি সুবিধা হতে চলেছে সরকার। আশারামের মত এই ধরনের মানুষকে দেখে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি জীবনের সঠিক ভাবে লড়াই এবং পরিশ্রম করলে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।