আমা’দের দেশে এখনো কিছু কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে রীতিমত শোক পালন করা হয়। অথচ তাদের সত্যিই কোন ধারণা নেই যে বর্তমান যুগে নারীরা কতটা এগিয়ে গেছে। পুরুষদের সাথেই কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত রকম দায়িত্ব সামলাতে পারে তারা।
লোকজনরা জানে না যে, পু’রু’ষরা একবার হলেও তাদের দুঃখ দিতে পারে কিন্তু নারীরা কখনই সেটা করে না। একথা একদম সত্যি যে বিয়ে দেওয়ার পর মেয়ে’রা মেয়েই থাকে কিন্তু ছেলেরা স্বামী হয়ে যায়। এই জগতে অ’মূল্য অবদান রয়েছে মহিলাদের। কারণ তাদের থেকেই সৃষ্টি হয় নতুন প্রাণের।
সবাই জানে যে নারীরাই নতুন প্রাণের উৎস, তবুও নারীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তবে বলা উচিত যে, বর্তমানে অনেক লোকজনেরই নারীদের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা পাল্টেছে। আর কোন ধরনের মহিলারা তাদের পরিবার ও স্বামীর জন্য সৌভাগ্যশালী হন।
এ ক্ষেত্রে মহিলাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি অ’ঙ্গ বড় হলে তা পরিবারে সুখ-সমৃ’দ্ধি নিয়ে আসে। আরও পড়ুন : একই দিনে মা ও মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাও আবার একই মণ্ডপে! অবাক হলেও ঘটনাটি একেবারে সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে।
যেখানে শুধু মেয়ে ইন্দুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই মঞ্চে তার মা ও কাকার বিয়ে সেরে ফেলবেন বলে ঠিক করেন। বেইলির দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। ২৫ বছর আগে তার স্বামী মা’রা যান। তারপর থেকে সন্তানদের মানুষ করেন তিনি।
এদিকে, জগদীশ বিয়ে করেননি। দুজনের মধ্যে যে অনেক আগে থেকে সম্পর্ক ছিল তাও নয়। তবে গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলায়। বউদিকে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন জগদীশ। প্রথমে চার সন্তানের মা রাজি হননি। কিন্তু এরপর তিনিও জগদীশের প্রস্তাবে সায় দেন। ঠিক হয়, একই দিনে, একই মঞ্চে মা ও মেয়ের বিয়ে হবে।
গণবিবাহের অনুষ্ঠানে জে’লাপ্রশাসক, এসপি থেকে শুরু করে একাধিক প্রশাসনিক কর্তা হাজির ছিলেন। তবে মা ও মেয়ের বিয়ে নিয়েই যেন সবার মধ্যে আলাদা উৎসাহ ছিল। পেশায় কৃষক জগদীশ নিজের সি’দ্ধান্তে গর্বিত ও খুশি। বড় ভাই হরিহর মা’রা যাওয়ার পর বউদির স’ঙ্গে মিলে পরিবারের দেখভাল করেছিলেন জগদীশ। ভাইদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সব থেকে ছোট।