সাম্প্রতিককালে সর্বাধিক বরিষ্ঠ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার জিতে নেন তামিলনাড়ুর 126 বছর বয়সী যোগগুরু বাবা শিবানন্দ! এদিন নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে দরবার হলে নিজের পায়ে হেঁটে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার জিতে নেন ভারতের শতায়ু এই নাগরিক। 126 বছর বয়সে এসেও তার এই ফিটনেস এর রহস্যটা ঠিক কি, নিশ্চয়ই জানতে উৎসুক? তাই আজ আমরা জানবো সুস্থ এবং দীর্ঘজীবন যাপনে বাবা শিবানন্দর পালনীয় দিকগুলির কথা যা মেনে চললে আপনিও ছুঁতে পারেন একশোর মাইলস্টোন!
1) তেল-মশলাহীন খাবার- দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে স্বামী শিবানন্দ যে মৌলিক নিয়মগুলো মেনে চলেন তার মধ্যে প্রধান হল তেল-মসলাহীন খাঁটি সিদ্ধ এবং সাত্বিক খাবার। তিনি প্রত্যহ সিদ্ধ ভাত এবং সিদ্ধ মুসুরির ডাল একটি সবুজ কাঁচালঙ্কা সহযোগে উদয়াস্ত করেন।
2) প্রতিদিনের যোগব্যায়াম- 126 বছর বয়সে এসেও রোগমুক্ত এবং সক্রিয় জীবনযাপনের পিছনে থাকা রহস্যের মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিদিনের বিলা নাগা যোগব্যায়ামের অভ্যাস। নিয়মিত যোগা করার মাধ্যমে তিনি নিজেকে পরিণত করেছেন একজন নীরোগ কর্মযোগী মানুষে।
3) যৌনতা থেকে দূরত্ব- স্বামী শিবানন্দ এর মতানুসারে দীর্ঘদিনের সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে যৌনাচার থেকে দূরত্ব বজায় রাখা অবশ্যম্ভাবী।
4) মাটিতে ঘুমোনো- 126 বছর বয়সী এই দক্ষিণী যোগগুরু নিদ্রাকালীন সময়ে ব্যবহার করেন না বালিশ কিংবা বিছানা। মাটিতে মাদুর পেতে কেবলমাত্র একটি কাঠের পাটাতনকে মাথার অবলম্বন হিসাবে ব্যবহার করে নিশিযাপন করেন তিনি।
5) দুধ এবং ফল পরিত্যাগ- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ কিংবা ফল গ্রহণ করেননা শতায়ু। শৈশবে দারিদ্র্যের কারণে বহুদিন তাকে খালি পেটেই নিদ্রাযাপন করতে হয়েছিল। তবে সে সময় তিনি কখনো অসুস্থ হয়ে পড়েন নি আর সেই কারণেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল এবং দূধকে উপাদেয় বা প্রয়োজনীয় খাদ্যবিশেষ বলে ধার্য করেন না শিবানন্দ।
উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলি ছাড়াও তার দীর্ঘায়ু যাপনে যে বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো মানসিক শান্তি। কোনো মানুষ যদি রোগমুক্ত,স্বাভাবিক-সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন যাপন করতে চান সেক্ষেত্রে প্রয়োজন মানসিক শান্তি ও সততার!