তিনি ১৫ সন্তানের জননী। ৩ মাস আগে তার সর্বশেষ সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আর এখন তিনি জানালেন তার গ’র্ভে এসেছে ১৬ তম শিশু! তিনি এ-ও বলছেন, ভবি’ষ্যতেও আরও শিশু নেয়ার কথা বিবেচনা করবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লোটে বসবাস করেন প্যাটি হার্নান্দেজ (৩৮) নামে এই মহিলা। স্বামী কার্লোস হার্নান্দেজ সহ তিনি থাকেন ৫ বেডরুমের বিশাল অ্যাপার্টমেন্টে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। খবরে বলা হয়, প্রতি স’প্তাহে বাচ্চাকাচ্চার খাবার আর ডায়পারের পেছনেই ৫০০ ডলার করে খরচ করেন এই দম্পত্তি। নতুন গাড়িও কিনতে যাচ্ছেন তারা। কারণ, তাদের ১৬ সিটের বাসে এখন পরিবারের নতুন সদস্যকে
যেতে দেওয়া যাচ্ছে না। ১৫ সন্তানের মধ্যে ৫ জন ছেলে, ১০ জন মেয়ে। এদের মধ্যে ৬ জনই জমজ। কার্লোসের পরিবারের জমজ সন্তান হয়েছে অনেকেরই। পিতার নামের স’ঙ্গে মিল রেখে প্রত্যেক সন্তানের নামের আদ্যক্ষর ইংরেজি ‘সি’। তবে এতবড় পরিবার হলেও কার্লোস খুব ধনী কেউ নন। তিনি একজন ফ্লোর ক্লিনার!
সবচেয়ে বড় সন্তান কার্লোস জুনিয়রের বয়স ১২। ক্রিস্টোফারের ১১। কার্লা, ক্যাটলিনের ৯। সেলেস্টে ৭। ক্রিস্টিনা ৬। ক্যালভিন ও ক্যাথেরিন ৫। ক্যারল ৪। ক্যালেব ও ক্যারোলাইন ৩। ক্যামিলিয়ার ২। চার্লির ১। ক্রিস্টালের মাত্র ৪ মাস। ২০২১ সালে জন্ম নেয়ার কথা নতুন সন্তানের।
২০১৯ সালেও প্যাটিকে নিয়ে সংবাদ হয়েছিল। এরই মাঝে তার আরও দু’টি সন্তান হয়েছে। ১৫ সন্তানের জননী স্বীকার করেছেন, এত বড় পরিবার সামলানো কঠিন। তবে তারপরও আরও সন্তান নিতে আপ’ত্তি নেই তার। তিনি বলেন, ‘সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানকে সামলানো চাপের কাজ ও বেশ কঠিন। বাচ্চারা সবসময় কান্না করে। তাদের দেখাশোনা করতে হয় আমা’র। তবে এটি আশির্বাদও, কারণ এই কাজ আমর’া উপভোগ করি।’
তার ভাষ্য, ‘আমর’া সবকিছুই ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাই তিনি আমা’দের যা দেন, তা নিয়েই আমর’া খুশি থাকবো। আমর’া কোনো জন্মপ্রতিরোধক ব্যবহার করি না।’ ২০০৮ সালের পর গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ১৫ সন্তান জন্ম দিতে সবসময়ই প্যাটির গ’র্ভে সন্তান ছিল। তবে তিনি বলছেন, ‘আমি যখন গ’র্ভবতী থাকি আমি খুবই খুশি থাকি। সন্তান জন্ম’দানের ৩ মাস পরই সাধারণত আমি ফের গ’র্ভবতী হই।’ তিনি
বলেন, এত বেশি সন্তান থাকায় ঘরের কাজ হয়ে যায় অনেক। তবে তিনি বড় সন্তানদেরও এসব কাজে সাহায্য করতে অভ্যস্ত করে তুলছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমা’র হাজার খানেক জামাকাপড় ধুতে হবে। প্রতি দুই দিন পর পর এতগু’লো আধোয়া জামা’র স্তুপ জমে। আমি স’প্তাহে অন্তত ৪ বার জামাকাপড় ধুই। বাচ্চারা যখন খেলে তারা ফ্লোরে খেলনা রেখে যায়, ফলে সেগু’লোও পরিষ্কার করতে হয়।’ নিজেদের বড়
পরিবার নিয়ে খুশি প্যাটি ও কার্লোস। মানুষের মনোযোগ পেয়ে তারা আরও আনন্দিত। প্যাটি বলেন, মানুষ সবসময় জিজ্ঞেস করে, এরা সবাই কি তোমা’র ছেলেমেয়ে? সবাই অবাক হয় যখন তারা দেখে আমা’র কত সন্তান। আমি কখনও ভাবিনি আমা’র এতগু’লো বাচ্চা হবে!